গোত্রান্তর ব্যাপারটা কী?

 




মেয়ের প্রশ্ন: গোত্রান্তর ব্যাপারটা কী? আমি ব্রাহ্মণ বংশে জন্মেছি অব্রাহ্মণ বংশে বিবাহ, তবে কি আমি ব্রাহ্মণ থাকলাম না? জন্মগত ব্রাহ্মণ এটাকে negate করা হলে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে কী এর কোনো মূল্য রইল না?

স্বামী ত্রৈলোক্যানন্দ মহারাজ: এই হলো জল গুলিয়ে খাওয়া। আপনি কোনো so called ব্রাহ্ম বংশে জন্মেও ব্রাহ্মন্ ছিলেন না, তো আবার গোত্রান্তরে অব্রাহ্মন্ কী হবেন? কিন্তু আমাদের অহংকার বলে আমি ব্রাহ্ম ছিলাম। আজ্ঞে নয়। আপনি, আমি একমাত্র কর্ম সংস্কারের দ্বারাই ব্রাহ্মণত্ব পাই।

প্রকৃতি, দেহ, সহুলভাবে যারা বাঁচছে, তারা সবাই শূদ্র। ব্রাহ্ম মাত্র সে, যে ব্রহ্ম বা আত্মাকে কেন্দ্র করে বাঁচে। যে চেতনাকে, চিত্তের শুদ্ধির জন্য মাত্র কর্ম করে, সে শুধু ব্রাহ্ম৷ তবে আপনি যদি স্তরে আপনার বাবার বাড়িতে থেকে থাকেন স্বামীর বাড়িতে এসে দেহের দিকে চলে যান তাহলেই গোত্রান্তর হলো।

আপনি দাসই হোন বা মুখার্জী- হোনন, ভরদ্বাজই হোন। অথবা বিশ্বামিত্র, কিছু এসে যায় না কিছু বদলায় না, যদি আপনি consciously নিজেকে না বদলান, ক্ষুদ্রতা থেকে না ওঠেন।

DNA বা genetic feature- জীবন বদলে যেতে পারে, modify হতে পারে। আর এতো ঋষিদের সময়ের কথা। গোত্র basically একটা ধারার অনুবর্তন বোঝায়। যেমন: আমরা বলি, সে অমুক বংশের সন্তান, কিভাবে এমন হলো? অর্থাৎ আশা করা হচ্ছে DNA-গত কিছু উচ্চ সংস্কার তার মধ্যে আছে। কিন্তু, not necessary যে এমনই হবে। বাবা ছেলের মধ্যে বিশাল পার্থক্য হয়ে যায়। আর এতো হাজার হাজার বছর আগের অনুবর্তন।

দেখে নিন না, ভরদ্বাজ, শান্ডিল্য ঋষিদের গুণ আপনাতে আছে কিনা... তবে তো গোত্র বা গোত্রান্তর হবে? গোত্র ব্যাপারটা উচ্চতার জন্য, কিছু মনে করানোর জন্য, উৎকর্ষতার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তাকে মানুষ নিজের রঙে রাঙিয়েছে। তুই ছোট, আমি বড় বা এক গোত্র, তাই বিয়ে হবে না। যদি কেউ সত্যিই বড় হয়, তবে তা বজায় রাখুক, অন্যকে স্ব-গোত্রে তুলুক। কিংবা কেউ ছোট হলে সে আগে ওঠার চেষ্টা করুক। এটা উচ্চতার জন্য দেওয়া, ক্ষুদ্রতায় বাঁধার জন্য নয়।

বিবাহই যখন দেহ বস্তুকে কেন্দ্র করে তবে জানুন, আপনি সর্বদা শূদ্র ছিলেন আছেন, গোত্রান্তর হয়নি। যেমন: certificate class eight pass হোক অথবা graduate এর হোক, দুটোই যথার্থ নয়, যখন আপনি অশিক্ষিত নিরক্ষর।

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ